এলডিসি-উত্তর সময়ে দেশের রপ্তানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানির সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রদানই নতুন শিল্পনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত জাতীয় শিল্পনীতি : ব্যক্তি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী আলোচকরা এসব...
বান্দরবান (চট্টগ্রাম) : পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে চা চাষ সম্প্রসারণে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে। চাষীদের চা আবাদে কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি চা চারা বিতরণ, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মাধ্যমে এ অঞ্চলে চা উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিদ্যমান সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন...
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারী করদাতার তথ্য যাচাই-বাছাই করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সঞ্চয়পত্র অধিদফতর অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের (এপিআই) মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কর অঞ্চলগুলোর সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এর ফলেই এনবিআর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারী করদাতার তথ্য যাচাই করতে পারবে।
এনবিআর সূত্রে...
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি বলেছেন, দেশের চা নিলাম ও চায়ের বিপণন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইন চা নিলাম সিস্টেম চালুর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এটা বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। টি ট্রেডার্স...
দেশের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের ইনসেনটিভ বোনাস বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হিসাবের মারপ্যাঁচে আয় দেখিয়ে এসব ব্যাংক কর্মীদের প্রণোদনা ভাতা দিলেও কার্যত ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা সঙ্গিন। এমনকি লোকসানি হয়েও ইনসেনটিভ বোনাস প্রদান কতোটা যৌক্তিক—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। কিন্তু...
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। বৃদ্ধি পেয়েছে এর উত্পাদন ক্ষমতাও। তবে উত্স জ্বালানি গ্যাস স্বল্পতার কারণে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতার অর্ধেকও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গ্যাস-সংকটের কারণে ডিজেলের ব্যবহার বাড়িয়ে বিদ্যুত্ উত্পাদন বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
আর ডিজেলের ব্যবহার বাড়ানোর ফলে চলতি অর্থ...
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হবে ৫ আগস্ট। এরপর বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে সব দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি করেছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। আজ রোববার রাজধানীর নিউমার্কেটে দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে এ দাবি করে দোকান মালিক সমিতি।
দোকান মালিক সমিতির...
দেশের উৎপাদনমুখী শিল্পগুলোর মধ্যে বৃহত্তম গার্মেন্ট বা পোশাক শিল্প। রফতানি আয়েও শ্রম নিবিড় শিল্পটির অবদান সবচেয়ে বেশি। এ কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশের উৎপাদন খাত নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসছে তৈরি পোশাক ও এর ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বস্ত্র শিল্প। তবে এর বাইরেও উৎপাদনমুখী বিভিন্ন শিল্প এখন দ্রুত বড় হচ্ছে। বিশেষ করে দুই বছর ধরে খাদ্যপণ্য, ওষুধ ও অধাতব (নন-মেটালিক) খনিজ শিল্পের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ও বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
দেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন খাতের স্থানীয় বাজারমুখী শিল্পগুলো এখন দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনেও একই কথা উঠে এসেছে। ‘গিয়ারিং আপ ফর দ্য ফিউচার অব ম্যানুফ্যাকচারিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে এ নিয়ে কিছু পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক।
এতে বলা হয়, গত আট বছরে দেশের মোট শিল্পোৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে ছিল তৈরি পোশাক। এ সময়ে শিল্পটির প্রবৃদ্ধির গড় বার্ষিক হার ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে সম্প্রসারণের দিক থেকে এ সময় পিছিয়ে ছিল না উৎপাদন খাতের অন্যান্য শিল্পও। এ সময় মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছে দুই অংকের। গত আট বছরে খাদ্যপণ্য শিল্পের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে প্রতি বছর গড়ে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ হারে সম্প্রসারিত হয়েছে ওষুধ শিল্প। এছাড়া অধাতব খনিজ শিল্পে প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ।
তবে দেশে এখনো উৎপাদনমুখী শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রে রয়েছে তৈরি পোশাক। ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ১৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে চীনের পরের অবস্থানটিই এখন বাংলাদেশের। শিল্পটিতে সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে ৪০ লাখ মানুষের। পরোক্ষভাবে শিল্পটির সঙ্গে জড়িত প্রায় এক কোটি মানুষ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের চাহিদা মেটাচ্ছে স্থানীয় বাজারনির্ভর উৎপাদনমুখী শিল্প। নির্মাণ শিল্পে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকলেও তা আলোচনায় আসছে খুব কম। বিএসআরএম, আরএসআরএম, মেঘনা গ্রুপ ও কেএসআরএমের মতো বড় শিল্প গ্রুপগুলো এখন সিমেন্ট ও স্টিল পণ্য উৎপাদনে যুক্ত রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বা এফএমসিজি-সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোও বেশ বড় হয়ে উঠছে। এসব শিল্পের মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পানীয় ও চিনি। আকিজ গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, প্রাণ, আবুল খায়ের ও টিকে গ্রুপের মতো শীর্ষ করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব শিল্পে বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া দেশে উৎপাদনমুখী অন্যান্য শিল্পপণ্যের মধ্যে রয়েছে চামড়া, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক ইত্যাদি। এসব খাতের অবদানও দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড়। তার পরও রফতানির মূল চালিকাশক্তি হওয়ায় তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের সম্প্রসারণই পাদপ্রদীপের আলোয় আসছে সবচেয়ে বেশি।
ইস্পাত শিল্পের প্রতিনিধিরা বলছেন, এটি একটি মৌলিক শিল্প। উন্নয়নের একটি বড় অনুষঙ্গ হলো অবকাঠামো। দেশের প্রতিটি খাতের ক্ষেত্রেই অবকাঠামো অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। এ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ ইস্পাত। নির্মাণ খাতসহ দেশের অর্থনীতির সার্বিক বিকাশের ধারাবাহিকতায় এখন ইস্পাতের স্টিলের চাহিদা ও ব্যবহার—দুইই বাড়ছে। অন্যদিকে বিনিয়োগ ও উৎপাদনের দিক থেকেও প্রসারিত হচ্ছে ইস্পাত শিল্প। এক সময় দেশে বছরে ১০-১২ লাখ টন ইস্পাত ব্যবহার হতো। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ টনে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসাদুল আলম মাসুদ বণিক বার্তাকে বলেন, ইস্পাত শিল্প এগিয়েছে বলেই অন্যান্য খাত এগিয়েছে। ইস্পাত সহজলভ্য না হলে অবকাঠামো উন্নয়ন কঠিন হয়ে যেত। মৌলিক শিল্পগুলোর উদ্যোক্তারা দেশের চাহিদা, প্রক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করে নিজেরাই নিজস্ব সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলেন। যখন বার্ষিক ১০-১২ লাখ টন ইস্পাত ব্যবহার হতো তখন দেশে বড় শিল্প ছিল না। বেশির ভাগই ছিল কুটির শিল্প। অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বড় স্বয়ংক্রিয় মিলও গড়ে উঠতে পেরেছে। এখন আরো বড় বড় শিল্প গড়ে উঠছে। পদ্মা সেতুর মতো উন্নয়ন অবকাঠামোও হচ্ছে। এ সেতুকে কেন্দ্র করে আবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় অচিরেই ব্যাপক হারে বিনিয়োগ বাড়বে। তখনো অবধারিতভাবেই ইস্পাতের চাহিদা বাড়বে।
নির্মাণ খাতের আরেক বড় অনুষঙ্গ সিমেন্ট। দেশের সিমেন্ট শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশে শুধু আবাসন খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় নিয়েই বলা যায়, সিমেন্ট বা ইস্পাতের মতো শিল্পগুলোর আরো অনেক বড় হওয়ার সুযোগ আসছে। মাথাপিছু ইস্পাত ও সিমেন্টের ব্যবহারে এখনো বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে। একসময় দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ছিল শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। এখন তা সারা দেশের বিভাগীয় পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে নির্মাণসামগ্রীর চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। রেমিট্যান্স প্রবাহও নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহসভাপতি মো. শহিদুল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশে এক দশক আগেও নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হতো সরকারি খাতে। মোট ব্যবহারের মাত্র ১০-১৫ শতাংশ সরকারি নির্মাণকাজে ব্যবহার হতো। বাকি ৮৫ শতাংশ হতো বেসরকারি খাতে। এখন গোটা চিত্রই দ্রুত উল্টে যাচ্ছে। বর্তমানে সরকারি প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। আবার সরকারি-বেসরকারি দুই খাতেই সিমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। ফলে শিল্পটিও দ্রুত বড় হচ্ছে।
ইস্পাত ও সিমেন্টের মতো আরো বেশকিছু শিল্প এখন স্থানীয় বাজারের ওপর নির্ভর করেই বেড়ে চলেছে। রাষ্ট্রেরও এখন স্থানীয় বাজারকেন্দ্রিক এসব শিল্পের দিকে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারনির্ভর শিল্পগুলোর দিকে সরকারের আরো মনোযোগী হতে হবে। এ শিল্পগুলোর সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই আরো আধুনিক ধ্যানধারণা আয়ত্ত করা প্রয়োজন। স্থানীয় বাজারনির্ভর শিল্পগুলোর অবদান অর্থনীতিতে অনেক বেশি। তাই এ শিল্পগুলো বিকাশে আরো জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশিত।
এদিকে অর্থনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের উৎপাদনভিত্তিক শিল্প খাতের প্রায় ৫০ শতাংশই এখন রফতানিমুখী। অন্যদিকে যেসব শিল্পের সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি ভালো, সেগুলোর বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণ বাজারনির্ভর। এ শিল্পগুলো উচ্চমাত্রার সুরক্ষাবলয়ের মধ্যে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বণিক বার্তাকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পোশাক ছাড়াও অন্য শিল্পগুলোর প্রবৃদ্ধি ভালো, কিন্তু এ প্রবৃদ্ধি পোশাক খাতের মতো নয়। তার পরও পোশাক ছাড়া অন্যান্য শিল্প প্রবৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য ভালো। তবে এটি সম্ভব হচ্ছে উচ্চমাত্রার সুরক্ষা নিয়ে। এ সুরক্ষা সময়সীমা ও শিল্প নৈপুণ্যনির্ভর হতে হবে। পোশাক খাত ছাড়া অন্য শিল্পগুলো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বড় করতে হলে আমাদের সুরক্ষাবলয়ের সময়সীমা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষম হলেই সেটিকে শিল্প উন্নয়ন বলা যাবে।
করোনার প্রভাবে ইউরোপে বেড়ে গেছে বাইসাইকেলের চাহিদা। আবার পিছিয়ে পড়া জুতার রপ্তানির চিত্রও নতুন করে আশা জাগাচ্ছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিও দিন দিন বাড়ছে। এসব খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, কিছু প্রতিবন্ধকতা দূর করা গেলে এসব খাত আরও ভালো করবে। রপ্তানিতে একক পণ্যনির্ভরতা কমাতে হলে দরকার সরকারি নীতিসহায়তা। সংশ্লিষ্ট...
অতিদ্রুতই বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বহির্বিশ্বে বিনিয়োগ নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। গতকাল বিডা আয়োজিত বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী বিনিয়োগ নীতিমালাবিষয়ক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে, তাই এখন আমরা বহির্বিশ্বে বিনিয়োগের কথা ভাবছি; যা দশ বছর আগেও ছিল কল্পনার বাইরে। তাই বহির্বিশ্বে বিনিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। তবে এক্ষেত্রে আগে আমাদের সেক্টরগুলো চিহ্নিত হবে। সেই সঙ্গে আমাদের এমনভাবে পলিসি প্রণয়ন করা উচিত, যাতে কোনো রকম মানি লন্ডারিং লিকেজ ইস্যু না থাকে।
বিডার উপপরিচালক নুসরাত জাহানের সঞ্চালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডার নির্বাহী সদস্য মহাসিনা ইয়াসমিন। এ সময়ে বিডার মহাপরিচালক শাহ্ মোহম্মদ মাহাবুব ১৩ অনুচ্ছেদ-বিশিষ্ট ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী বিনিয়োগ নীতিমালার খসড়া’ উপস্থাপন করেন। বিডার পরিচালক কাজী আবু তাহের বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নীতিমালা পর্যালোচনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বিডার গভর্নিং বোর্ডের প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ নীতিমালা তৈরির কথা বলা হয়েছিল এবং দ্বিতীয় গভর্নিং বোর্ডসভায় বিডাকে এর খসড়া চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় আমরা ১৩ অনুচ্ছেদবিশিষ্ট একটি খসড়া প্রস্তুত করেছি। এ খসড়া পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের কাছ পাঠিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এতে অনেক খাত চিহ্নিতকরণসহ বিভিন্ন সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।