ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ‘চা আইন, ২০১৬’ লঙ্ঘনের শাস্তি দেওয়া যাবে। এজন্য আইনটি ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’-এর তফসিলে যুক্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’-এর ধারা ১৫-তে দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার এই আইনের তফসিলে সংশোধন করেছে। সংশোধন এনে আইনের তফসিলে ১২০ ক্রমিকে ‘চা আইন, ২০১৬’ যুক্ত করা হয়েছে।
চা আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৬ (চাষাবাদ নিয়ে চা বোর্ডের নির্দেশনা) ও ২১ (বোর্ডের ইস্যু করা লাইসেন্স ছাড়া চা ও চা বীজ রপ্তানি না করা) ছাড়া এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন বা এই আইনের অধীন জারি করা কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন কিংবা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাকে কর্তব্য সম্পাদনে বাধা দেন, চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র না দেখান তবে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এজন্য ওই ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ বছর কিন্তু কমপক্ষে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ক্ষুদ্রায়তন বাগানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা কিন্তু কমপক্ষে ২ হাজার টাকা এবং বাগানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা কিন্তু কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।