এলডিসি-উত্তর সময়ে দেশের রপ্তানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানির সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রদানই নতুন শিল্পনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত জাতীয় শিল্পনীতি : ব্যক্তি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারী আলোচকরা এসব কথা বলেন। গতকাল রবিবার আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দেশের সিএমএসএমই খাতের যথাযথ উন্নয়নে বিদ্যমান সংজ্ঞার সংশোধন করতে হবে। এর মাধ্যমে এ খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও নীতি সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি সহজতর হবে। শিল্পনীতি তৈরিতে ভিয়েতনামের গৃহীত শিল্পনীতির অনুসরণের পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং ই-কমার্স শিল্পের অগ্রযাত্রাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া এলডিসি-উত্তর সময়ে দেশের রপ্তানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানির সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, নতুন শিল্পনীতিতে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ৫ শতাংশ বৃদ্ধি, সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ সমন্বয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো, দক্ষ ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প প্রতিষ্ঠা, গবেষণার মাধ্যমে শিল্প খাতের দেশীয় প্রযুক্তির প্রসার, সিএমএসএমই খাতের দক্ষতা উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয় নতুন শিল্পনীতিতে প্রাধান্য পাবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা, পণ্যের গুণগত মান সংরক্ষণ ও মেধাসম্পদ ব্যবস্থাপনা, এসএমইর সঠিক সংজ্ঞায়ন, সারা দেশে শিল্পায়ন কার্যক্রমের সম্প্রসারণ, ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পপার্ক গড়ে তোলা, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনগত ও অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করাই জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এর মূল লক্ষ্য।