অতিদ্রুতই বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বহির্বিশ্বে বিনিয়োগ নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। গতকাল বিডা আয়োজিত বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী বিনিয়োগ নীতিমালাবিষয়ক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে, তাই এখন আমরা বহির্বিশ্বে বিনিয়োগের কথা ভাবছি; যা দশ বছর আগেও ছিল কল্পনার বাইরে। তাই বহির্বিশ্বে বিনিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। তবে এক্ষেত্রে আগে আমাদের সেক্টরগুলো চিহ্নিত হবে। সেই সঙ্গে আমাদের এমনভাবে পলিসি প্রণয়ন করা উচিত, যাতে কোনো রকম মানি লন্ডারিং লিকেজ ইস্যু না থাকে।
বিডার উপপরিচালক নুসরাত জাহানের সঞ্চালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডার নির্বাহী সদস্য মহাসিনা ইয়াসমিন। এ সময়ে বিডার মহাপরিচালক শাহ্ মোহম্মদ মাহাবুব ১৩ অনুচ্ছেদ-বিশিষ্ট ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী বিনিয়োগ নীতিমালার খসড়া’ উপস্থাপন করেন। বিডার পরিচালক কাজী আবু তাহের বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নীতিমালা পর্যালোচনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বিডার গভর্নিং বোর্ডের প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ নীতিমালা তৈরির কথা বলা হয়েছিল এবং দ্বিতীয় গভর্নিং বোর্ডসভায় বিডাকে এর খসড়া চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় আমরা ১৩ অনুচ্ছেদবিশিষ্ট একটি খসড়া প্রস্তুত করেছি। এ খসড়া পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের কাছ পাঠিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এতে অনেক খাত চিহ্নিতকরণসহ বিভিন্ন সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।