বাংলাদেশের জন্য ২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তারা বলেছে, এটি নীতিভিত্তিক ঋণ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা)। মূলত অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি ও সামাজিক উন্নয়নে এই ঋণ দিচ্ছে এডিবি।
এডিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এডিবি বলছে, অনেক মানুষ এখনো শুধুমাত্র জীবনধারনের পর্যায়ে আছে। এ ছাড়া কোভিডের অভিঘাতে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত অর্থবছরে কমে গেছে।
এডিবি জানায়, বাংলাদেশ গত দুই দশকে দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০১৯ সালের তথ্যানুযায়ী কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। কিন্তু অনেক মানুষ এখনো শুধুমাত্র জীবনধারনের পর্যায়ে আছে। এ ছাড়া কোভিডের অভিঘাতে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত অর্থবছরে কমে গেছে।
কর্মসূচির মাধ্যমে ৬২ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য বয়স্ক ভাতা এবং ১৫০টি জেলা-জেলা বা উপজেলায় বিধবা, নিঃসঙ্গ ও নিঃস্ব নারীদের জন্য ভাতার আওতা বাড়ানো হবে।
ঋণ সম্পর্কে এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক খাতবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ হিরোকো উচিমুরা শিরোশিই বলেছেন, মহামারির প্রভাব মোকাবিলার জন্য সামাজিক সুরক্ষায় সহায়তা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান পুনরুদ্ধারে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি আরও শক্তিশালী করতে হবে। এডিবির এ অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারকে সামাজিক সুরক্ষাগুলো শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।
এডিবি জানিয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কেবল দারিদ্র্য বিমোচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জীবনমান উন্নয়নের উদ্দেশ্যেও এই ঋণসহায়তা ব্যবহৃত হবে।
কর্মসূচির মাধ্যমে ৬২ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য বয়স্ক ভাতা এবং ১৫০টি জেলা-জেলা বা উপজেলায় বিধবা, নিঃসঙ্গ ও নিঃস্ব নারীদের জন্য ভাতার আওতা বাড়ানো হবে। অবহেলিত নারীদের কাছে এর পরিধি আরও প্রসারিত হবে। অন্যান্য সংস্কারের মধ্যে রয়েছে মোবাইল আর্থিক পরিষেবা ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া এবং ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।
এর আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত সংস্কার কর্মসূচি আছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কেবল দারিদ্র্য বিমোচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জীবনমান উন্নয়নের উদ্দেশ্যেও এই ঋণসহায়তা ব্যবহৃত হবে।