করোনায় পর্যটনের ক্ষতি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা

0
211

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের ক্ষেত্রেও নানান সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা জারি করেছে। যার ফলে ব্যবসা হারাচ্ছে পর্যটন সংস্থাগুলো।

করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের পর বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প অভ্যন্তরীণ পর্যটনের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টায় ছিল কিন্তু করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল। গত বছরের করোনার কারণে পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের সবার ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে সবকিছু স্থবির হওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়ছে। জুন পর্যন্ত করোনার এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ট্যুর অপারেটরদের ক্ষতি হবে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। চলমান পরিস্থিতি আগামী ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত হলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সবচেয়ে বড় সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের থেকে দ্রুত উত্তরণে করণীয় বিষয়ক ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে। টোয়াবের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও পরিচালনায় ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, সীমিত পরিসরে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে পর্যটকের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে যেতে পারে। পাশাপাশি লকাডাউনের কারণে বন্দিদশা থেকে মানসিক প্রশান্তির জন্য হোটেল-রিসোর্টগুলোও খুলে দেওয়া যেতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, টোয়াবের নেতৃত্ববৃন্দ একটি পরিকল্পনা তৈরি করে সরকারের যথাযথ মহলে উপস্থাপন করবে। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন টোয়াবের প্রথম সহসভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী। পর্যটনের জন্য সরকারের কাছে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন টোয়াবের পরিচালক মোহাম্মদ সাহেদ উল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টোয়াবের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান মাসুম, মোহাম্মদ হানিফ, মো. আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর মো. আব্দুর রউফ, মোহাম্মদ সজিবুল-আল-রাজীব এবং সৈয়দ শাফাত উদ্দিন আহমদ তমাল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here