৩ মে থেকে শুরু হবে আগামী নিলামর্ষের চা নিলাম

0
289

আগামী ০৩ মে ২০২১ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে ২০২১/২২ চা নিলামবর্ষের প্রথম চা নিলাম। উক্ত চা নিলামবর্ষে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রে ৪৭টি এবং শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে ২২টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ১১/০৪/২০২১ তারিখ রবিবার সকাল ১১.০০ টায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: জহিরুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি এর সভাপতিত্বে জুম এপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত টি সেলস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভায় উক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ০৩ মে, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রের ১ম নিলাম এবং ০৫ মে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের ১ম নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে চায়ের উৎপাদন ও সরবরাহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনানুযায়ী নিলাম সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো হবে।সভায় বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: জহিরুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতবারের মতো এইবারও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণপূর্বক চা নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য টিটিএবি ও টিপিটিএবিকে নির্দেশনা প্রদান করেন:ক) নিলাম কেন্দ্র, ব্রোকার হাউজ এবং ওয়্যারহাউজে হাত ধৌত করার জন্য সাবান/সেনিটাইজার, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ সরকার কর্তৃক জারীকৃত সকল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। সবাইকে জীবাণুমুক্ত হয়ে নিলাম কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।খ) অকশন হাউজটি নিলাম শুরুর পূর্বে ও পরে জীবাণুনাশক স্প্রে করার মাধ্যমে পরিশোধন করে নিতে হবে।গ) নিলাম কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ন্যূনতম ৭ ফুট পর পর বসার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বিদ্যমান নিলাম কেন্দ্রে সকলের জন্য জায়গা সংকুলান না হলে কোনো বড় হলরুমে নিলাম কেন্দ্র শিফট করতে হবে।ঘ) নিলাম চলাকালে নিলাম কেন্দ্রে শুধুমাত্র অপরিহার্য জনবলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়া তিনি দ্রুত অনলাইন চা নিলাম সিস্টেম পরিপূর্ণরূপে চালু করার বিষয়েও নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চা বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ই-অকশনের বিকল্প নেই।” উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রের ২০২০/২১ নিলামবর্ষের সর্বশেষ নিলামটির একাংশ অনলাইন চা নিলাম সিস্টেমের মাধ্যমে চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী (যুগ্মসচিব) এর উপস্থিতিতে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করা হয় । সভায় চা রপ্তানির উপর গুরুত্বারোপ করে রপ্তানিকারকগণকে বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা ও ট্রেন্ড বিবেচনায় এনে গুণগত মানসম্পন্ন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চা উৎপাদন করতে হবে এবং উন্নত, আকর্ষনীয় ও আন্তর্জাতিক মানের চায়ের প্যাকেজিং ব্যবহার করতে হবে।” এ বিষয়ে বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী (যুগ্মসচিব) বলেন, “চা রপ্তানিকে বেগবান করতে চা বোর্ড সম্প্রতি বিবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চা ক্রয়ের ১৮০ দিনের মধ্যে চা রপ্তানি করার যে বাধ্যবাধকতা ছিলো, তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে পত্রালাপের মাধ্যমে শিথিল করা হয়েছে। চা রপ্তানিকারকগণকে নগদ ভর্তুকি ও প্রণোদনা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশী চায়ের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে এবং বিষয়টি চা বোর্ড হতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে”।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (গবেষনা ও উন্নয়ন) জনাব মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), চা বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জনাব শাহ আলম, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিটিএবি) চেয়ারম্যান জনাব শাহ মাইনুদ্দিন হাসান, টি প্লান্টার্স ও ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের (টিপিটিএবি) সভাপতি জনাব মেসবাহুর রহমান, বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আমিরুল হক খোকন, বাংলাদেশ বটলীফ ফ্যাক্টরি ওনার্স এসোসিয়শনের সাধারন সম্পাদক জনাব মোশরফ হোসেন, ডানকান ব্রাদার্স লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমরান আহমেদ, জেমস ফিনলে গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এ.এ. মাসরুর, হালদা ভ্যালী টি এস্টেট লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব নাদের খান, কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি: এর জনাব শোয়াইব আহমেদ, ন্যাশনাল ব্রোকার্স লি: এর চেয়ারম্যান এম সাইফুল ইসলাম, প্রোগ্রেসিভ ব্রোকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতামাস হাসান এবং চা শিল্পের অন্যান্য অংশীজনবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত ২০২০/২১ চা নিলামবর্ষে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রে ৪২টি এবং শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে ২০টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here