NewIncredible offer for our exclusive subscribers!Read More
Bangladesh Business Trade Trade & Market বাংলা

চাল আমদানি নিয়ে জটিলতা, এলসি করছেন না ব্যবসায়ীরা

  • January 18, 2021
  • 0 min read
চাল আমদানি নিয়ে জটিলতা, এলসি করছেন না ব্যবসায়ীরা

চাল আমদানি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বেসরকারি খাতে আমদানির জন্য যাদের এলসি করার অনুমোদন দিয়েছে তারা চাল আমদানিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামের বাজারে আমদানির কোনো চাল আসেনি। ফলে পাইকারি বাজারে চালের দাম বস্তায় আবার ১০০ টাকা করে বেড়েছে।

তবে আমদানিকারকদের অভিযোগ, ভারতে চালের দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া সরকার নির্ধারিত করে দেওয়া সময়ের মধ্যে চাল আমাদনি করে বাজারজাত সম্ভব নয়। আমদানি শুল্ক কমানোর পর এনবিআরের এইচ এস কোড পরিবর্তন করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে এলসি করা যাচ্ছে না।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, চাল আমদানি নিয়েও সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে। বাজারে অস্থিরতা বজায় রাখতে চাল আমদানি নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক দিন আগে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। গতকাল রবিবার থেকে হঠাত্ করে মিল মালিকরা চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে চাল সরবরাহ কমে গেছে। বন্দর সূত্র জানায়, এলসি খোলার অনুমতি দেওয়ার পর শুরুতে বন্দর দিয়ে মাত্র ৯ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। এরপর বন্দর দিয়ে আর কোনো চাল আসেনি। এছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির চাল এই পর্যন্ত চট্টগ্রামের বাজারে আসেনি। দেশীয় নতুন ও পুরাতন চালই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ না বাড়ায় দাম কমছে না বলে বিক্রেতারা জানান।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় ভোগপণ্য আমদানিকারক আবুল বশর চৌধুরী ১০ হাজার টন চাল আমদানির পারমিট পেয়েছে। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত চাল আমদানি এলসি করেননি। কারণ সরকার টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় আড়াই লাখ টন চাল আমদানি করেছে। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৫ লাখ টন আমদানির এলসি খোলার অনুমতি দিয়েছে। আর সবগুলো সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি ভাবেও ভারত থেকে চাল আমদানি করা হয়েছে। আবার বেসরকারি ভাবেও সবাই ভারত থেকে আমদানির জন্য ছুটে গেছেন। ফলে ভারতে চালের দাম বেড়ে গেছে। আর আমদানি ও বাজারজাতের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’

আমদানিকারক মহিউদ্দিন আহমেদ বেলাল বলেন, সরকার সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। চট্টগ্রামে সিদ্ধ চালের ক্রেতা নেই। আমরা আতপ চাল আমদানির অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আতপের অনুমতি না পেলে চাল আমদনি করব না।’

চাল আমদানিকারকরা জানান, আমদানি শুল্কের কোড পরিবর্তন করায় ব্যবসায়ীরা এলসি করতে পারছে না। ফলে নতুন শুল্ক কোডে ভারত চাল রপ্তানি করছে না। তাদের সমস্যা হচ্ছে। চট্টগ্রামে চারটি প্রতিষ্ঠান ৪০ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির পারমিট পেয়েছে। এদের মধ্যে কেউ এলসি করেনি। চাল আমদানির পারমিট প্রাপ্ত ব্যবসায়ী মো. হান্নান ইত্তেফাককে বলেন, আমি ৪ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছি। কিন্তু শুল্কায়ন নিয়ে নতুন কোড জারি করায় এলসি করা যাচ্ছে না। নতুন কোড নিয়ে ভারতের ঝামেলা হচ্ছে। ফলে বাজারে চালের দাম আবার বেড়ে যাচ্ছে।

About Author

Business Bangladesh

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.