দেশে আরও ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান অনুমোদন পেল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বোর্ডের সপ্তম সভায়। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে বেজা জানায়, সভায় অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চেম্বারের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন। বেজা জানায়, ঢাকার নবাবগঞ্জে নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে টাঙ্গাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল, নওগাঁয় সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল, দিনাজপুর সদরে দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নোয়াখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সন্দ্বীপ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সুনামগঞ্জের ছাতকে সুনামগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পাবনার বেড়ায় পাবনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, বরিশালের হিজলায় চরমেঘা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মানিকগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল। সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। এর মধ্যে ৯৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে। যদিও বাস্তবায়নাধীন রয়েছে সরকারি–বেসরকারি ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। বেজা আরও জানায়, সভায় আরও পাঁচটি সিদ্ধান্ত হয়। যার মধ্যে রয়েছে মহেশখালী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে ‘সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’ নামকরণের অনুমোদন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইস্টওয়েস্ট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলকে জোন ঘোষণা ও তাদের দেওয়া লাইসেন্সের ভূতাপেক্ষ অনুমোদন। সভায় অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত সব শ্রেণির (এ/বি/সি) কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরের প্রতিষ্ঠানের মতো একই হারে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া সভায় বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ স্থানান্তরের যে প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কর্মকৌশল ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরেরে সঙ্গে মেরিন ড্রাইভের সংযোগ স্থাপনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় সভায়। বেজা জানায়, সভায় প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী শিল্পের বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেন। অনগ্রসর অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তথা শিল্পনগর গড়ে তুলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আহ্বান জানান।