NewIncredible offer for our exclusive subscribers!Read More
Bangladesh Stock বাংলা

ঈদের পরও চাঙ্গা শেয়ারবাজার

  • August 5, 2020
  • 1 min read
ঈদের পরও চাঙ্গা শেয়ারবাজার

ঈদের ছুটির পরও বেশ চাঙ্গাভাবে দেশের দুই শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে। সোমবার লেনদেনের প্রথম দিনেই উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। তাতে ভর করে প্রধান মূল্য সূচকগুলো সোয়া এক শতাংশের ওপর বেড়েছে। ঈদের ছুটির আগের দিন গত বৃহস্পতিবারও অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় সূচক বেড়েছিল ১ শতাংশের বেশি। এ নিয়ে টানা সপ্তম দিনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪২৭১ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। সূচকের এ অবস্থান গত ৮ মার্চের পর সর্বোচ্চ। দরপতন ঠেকাতে গত ১৮ মার্চ সব শেয়ারের সর্বনিম্ন লেনদেন মূল্য ( ফ্লোর প্রাইস) বেধে দিয়েছিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক নেতৃত্ব। ফ্লোর প্রাইসের কারণে দরপতন বন্ধ হলেও, শেয়ারবাজারের সার্বিক লেনদেন স্থবির হয়ে পড়ে। সিংহভাগ শেয়ারেরই কোনো ক্রেতা ছিল না। এর প্রায় পাঁচ মাস পর বাজারে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মে মাসে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শীর্ষ নেতৃত্বে রদবদল হয়েছে। বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন মেয়াদ শেষে কমিশন ছাড়লে সরকার শিবালী রুবাইয়াত-উল ইসলামকে ওই পদে দায়িত্ব দেন। নতুন নেতৃত্ব গত দুই মাসে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্রমে বিনিয়োগে আস্থা ফিরছে। এর ফলে অনেকটা তেজি ধারায় ঈদের ছুটিতে গিয়েছিল শেয়ারবাজার। ছুটির পর ওই ধারা নিয়েই পুনরায় লেনদেন শুরু হয়েছে। লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৫১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টিরই বাজারদর বেড়েছে, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৯৪টির দর। অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৪২৬৬ পয়েন্টে উঠেছে। সূচক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। তাছাড়া সূচকের এ অবস্থান গত ৮ মার্চের পর সর্বোচ্চ। এমনকি ডিএসইর লেনদেন পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর পুনরায় ৬০০ কোটি টাকা পার করেছে। সোমবার এ বাজারে কেনাবেচা হওয়া সব শেয়ারের বাজার মূল্য ছিল ৬৭২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। স্বাভাবিক লেনদেন হিসাব করলে এ লেনদেন গত ২০ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। ওই দিন ঢাকার এ শেয়ারবাজারে ৭৭০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। অবশ্য গত ২৮ মে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশের মালিকানা বদলের জন্য কোম্পানিটির যে শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল, তাতে ভর করে ওইদিন এ বাজারে দুই হাজার ৫৪৩ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, সোমবার ৫০টি কোম্পানির শেয়ারদর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে ১৬ কোম্পানির শেয়ার। অবশ্য লেনদেনের শেষ পর্যন্ত আট কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে কেনাবেচা হয়েছে এবং বিক্রেতা শূন্য অবস্থায় ছিল। দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। সম্প্রতি এ ধরনের ৪২ কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা অনুসরণে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ কারণে শেয়ারগুলোর দর বাড়তে পারে। এর আগে তালিকাভুক্ত কোম্পানির যেসব পরিচালকদের কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ২ শতাংশ শেয়ার ছিল না, তাদেরও দেড় মাসের মধ্যে শর্ত পূরণের আল্টিমেটাম দিয়েছিল বিএসইসি। এর প্রভারে বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর বেশ দর বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ১০ শতাংশ দর বেড়েছে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং সিরামিক, অ্যাকটিভ ফাইন, বিডি ওয়েল্ডিং, নাভানা সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন। লেনদেনের শীর্ষে ছিল স্কয়ার ফার্মা, কেনাবেচা হয়েছে ২৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার। এর পরের অবস্থানেই থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিকে, দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৪৬ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৭ এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৭৫টির দর। এ বাজারের প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৯৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ  বেড়ে ৭৩৪৭ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। দিনব্যাপী কেনাবেচা হয়েছে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার।

About Author

Business Bangladesh

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.