বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে। বাকি তিন শতাংশের কাছে আসছে ডিসেম্বর মাস অর্থাৎ এই মুজিব বর্ষেই সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রিড আছে এমন উপজেলায় চলতি বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। আর অফগ্রিড এলাকা যেমন প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল এবং হাওড় এলাকায় ডিসেম্বরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ করার কথা। সে লক্ষ্যে চারটি বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নর্দান ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিশন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ কোম্পানিগুলো সোলার হোম সিস্টেম, সোলার মিনি গ্রিড, সাবমেরিন কেবল এবং ওভারহেড লাইনের মাধ্যমে ওইসব দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু করোনার কারণে গত চারমাস ধরে কাজ বন্ধ থাকায় সে উদ্যোগ স্থিমিত হয়ে রয়েছে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চলতি বছরেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। আরও বলেন, বর্তমানে ৯৭ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। বাকি তিন শতাংশ কাজ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব হবে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১২ সালে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত দেশের চারশ’র বেশি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। বাকিগুলো উপজেলা ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ১৩৮ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। ক্যাভটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩ হাজার ৫৪৮ মেগাওয়াট। আর ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এ দিয়ে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষেই দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন।