আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লেও শেষ কার্যদিবসে দরপতন হয়েছে। অন্যদিকে শেষ কার্যদিবসে তেলের দাম বাড়লেও সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়। প্রতি আউন্স ১৭৭৫ ডলার নিয়ে সপ্তাহ শুরু করে স্বর্ণ। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে তা বেড়ে ১৭৮৫ ডলারে ওঠে। দ্বিতীয় কার্যদিবসের শুরুতে দরপতন হলে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭৭৫ ডলারে নেমে যায়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে হু হু করে দাম বেড়ে ১৭৯৭ ডলারে ওঠে। তৃতীয় কার্যদিবসেও স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পরে প্রথমবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। দিনের লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮১৮ ডলারে ওঠে। তবে লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ১৮১০ ডলারে। চতুর্থ কার্যদিবসেও লেনদেনের শুরুতে স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে। এতে একপর্যায়ে আবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮১৫ ডলারে ওঠে। তবে শেষ দিকে দরপতন হওয়ায় ১৮০২ ডলারে দিনের লেনদেন শেষ হয়। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের শুরুতেও স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। একপর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮১০ ডলারে ওঠে। এরপরই চিত্র বদলে যায়। টানা নিচের দিকে নামাতে থাকে স্বর্ণের দাম। দাম কমে ১৭৯৪ ডলারে চলে আসে। শেষ দিকে কিছুটা দাম বাড়লে ১৭৯৮ দশমিক ৯৫ ডলারে থিতু হয় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম। ফলে ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ১৮০০ ডলারের ওপর থাকলেও সপ্তাহ শেষে ১৮০০ ডলারের নিচে নেমে আসে স্বর্ণের আউন্স। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে দশমিক ৮৬ শতাংশ। মাসের হিসাবে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং বছরের ব্যবধানে ২৭ দশমিক ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের কারণে গত ২০ এপ্রিল প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়। রেকর্ড এই দরপতনের পরই অবশ্য তেলের দাম বাড়তে থাকে। গত সপ্তাহের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৪০ দশমিক ৩২ ডলার। প্রথম দিনের লেনদেনের শুরুতে দাম বাড়ার এক পর্যায়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪১ ডলার স্পর্শ করে। দিনের লেনদেন শেষে ৪০ দশমিক ৭৮ ডলারে নেমে আসে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের শুরুতে দরপতন দেখা দিলে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৩৯ দশমিক ৭৮ ডলারে নেমে আসে। শেষ দিকে দাম বেড়ে ৪০ দশমিক ৭৩ ডলার হয়। তৃতীয় কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম আবার ৪১ ডলারে ওঠে। তবে দিনের লেনদেন শেষ হয় ৪০ দশমিক ৯০ ডলারে। চতুর্থ কার্যদিবসে দরপতন হলে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৩৯ দশমিক ৬২ ডলারে নেমে আসে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দশমিক ৯৩ ডলার দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম থিতু হয় ৪০ দশমিক ৫৫ ডলারে। এর মাধ্যমে একদিনে তেলের দাম বাড়ে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে তেলের দাম কমেছে দশমিক ২০ শতাংশ। এতে বছরের ব্যবধানে তেলের দাম এখন ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ কম। অবশ্য মাসের ব্যবধানে তেলের দাম ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।
Recent Article
বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব কমেছে ৮৬ শতাংশ
করোনার ধাক্কায় দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কাছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয়...
হঠাত্ নগদ ডলারের সংকট, কমে যাচ্ছে টাকার মান
বাজারে চাহিদা ও জোগানের ব্যবধানে ডলারের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে বাড়ছে ডলারের দাম। আমদানিকারকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। আর এর...
Bangladesh now a model for effective disaster management: PM
Prime Minister Sheikh Hasina today said Bangladesh is now a model country in the world in disaster management as it has been...
Automotive industry could attract Japanese investment: DCCI president
The automotive industry in Bangladesh could be an emerging investment destination for Japanese entrepreneurs, said Dhaka Chamber of Commerce and Industry president...
Success of businesses drives growth: ICCB
The success of businesses can drive the growth of a country and help achieve an overall sustainable development and create employment opportunities,...