আতঙ্কের বাজারে ‘পচা’ বেক্সিমকো সিনথেটিকের দাপট

0
400

মহামারি করোনার প্রকোপে এক ধরনের মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে দেশের শেয়ারবাজারে। প্রতিদিনই সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত থাকছে। দাম বাড়ছে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। এমন বাজারেই গত সপ্তাহে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো সিনথেটিক।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে বেক্সিমকো সিনথেটিকের শেয়ার দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে এক টাকা। শুধু গত সপ্তাহ নয় আগের সপ্তাহেও কোম্পানির শেয়ার দাম বড় হারে বাড়ে।

মহামারি করোনার প্রকোপের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকে শেয়ারবাজার। দীর্ঘ বন্ধের পর গত ৩১ মে থেকে শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন শুরু হয়ছে। দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হওয়া এ লেনদেন শুরুর দিন থেকেই বেক্সিমকো সিনথেটিকের শেয়ার দাম বাড়ছে। এ সময়ের মধ্যে তালিকাভুক্ত আর কোনো কোম্পানির শেয়ার দাম গত দুই সপ্তাহে এত বাড়েনি।

গত ৩১ মে কোম্পানির শেয়ার দাম ছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান টানা বেড়ে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে চার টাকা ৯০ পয়সা হয়। আর গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে তা আরও বেড়ে পাঁচ টাকা ৯০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের টানা উত্থানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে দুই টাকা ৪০ পয়সা বা ৬৯ শতাংশ।

করোনা সংকটের মধ্যে হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও বছরের পর বছর ধরে কোম্পানি লোকসানে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে ২০১২ সালের পর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে শেয়ারবাজারে ‘জেড’ গ্রুপ বা পচা কোম্পানির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত লোকসানে নিমজ্জিত কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনেও বড় ধরনের লোকসানের চিত্র উঠে এসেছে। ডিএসইর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১২ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে লোকসান দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা।

এদিকে বেক্সিমকো সিনথেটিকের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে ছিল ‘বি’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাম বেড়ে এর পরের স্থানেই রয়েছে ঢাকা ডাইং।

এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মার ৮ দশমিক ২১ শতাংশ, একমি ল্যাবরেটরিজের ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ, রেকিট বেনকিজারের ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডসের ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিডের ৫ দশমিক ২০ শতাংশ এবং রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here