প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনা পাওয়া আরও সহজ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈধ পথে প্রবাসীর পাঠানো ৫ লাখ পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রণোদনার জন্য কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগবে না। বর্তমানে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত পাঠালে কাগজ লাগে না। একবারে পাঁচ লাখ টাকার বেশি পাঠালে কাগজপত্র দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের পরিবর্তে সময় পাবেন ২ মাস।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে অর্থবছরের শুরু থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের পর থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স ব্যাপক বাড়ছিল। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর আগে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে মার্চ ও এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় জুলাই-এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৬১ শতাংশে নেমেছে। অবশ্য ঈদকে সামনে রেখে মে মাসে রেমিট্যান্স পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বর্তমানে একজন প্রাপককে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিপরীতে প্রতিবারে দেড় লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনার জন্য ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। বর্তমানে সার্বিক অবস্থায় গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনা করে প্রতিবারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সে কোনো ধরণের কাগজপত্র লাগবে না। একবারে পাঁচ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ১৫ দিনের পরিবর্তে তিনি ২ মাস সময় পাবেন। এ সিদ্ধান্ত গতবছরের ১ জুলাই থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য, কোনো প্রবাসী একবারে ৫ লাখের বেশি অর্থ পাঠালে সুবিধাভোগীকে তার পাসপোর্টের কপি, সংশ্লিষ্ট দেশে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কপিসহ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়।