শুধু জাতিসংঘ ও জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচিতে সরকার কিংবা বিশ্বনেতৃবৃন্দের আহ্বানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব নয়। এই বহুমুখী উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন করতে হবে স্থানীয় জনগণ ও স্থানীয় নেতৃত্ব এবং স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে। সমাজের সর্বস্তরে স্বচ্ছ, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া হবে অংশগ্রহণমূলক। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে ২০৩০ বৈশ্বিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হলে দেশের আর্থসামাজিক, পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার এসডিজির সফল বাস্তবায়নের স্বার্থে জাতীয় পর্যায়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ও সূচকের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর কার্যবণ্টন নির্ধারণপূর্বক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য তথ্য ও উপাত্তের ঘাটতি (Data Analysis) চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণের জন্য ‘এসডিজি’র পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কাঠামো’-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে এসডিজি প্রথম মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের ‘ফ্ল্যাগশিপ উন্নয়ন পরিকল্পনা’ হিসেবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজির অভীষ্টসমূহ প্রতিফলিত হয়েছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) কর্তৃক একটি ‘এসডিজি স্থানীয়করণ কাঠামো’ প্রণয়ন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সব উপজেলায় এসডিজি স্থানীয়করণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাঠামো দেওয়া হয়েছে। জিইডি কর্তৃক প্রণীত এসডিজি স্থানীয়করণ ফ্রেমওয়ার্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে । অর্থাত্ এসডিজি স্থানীয়করণ কাঠামো থেকে এটি স্পষ্ট যে স্থানীয়করণের প্রথম পর্যায় হচ্ছে এসডিজি-কেন্দ্রিক স্থানীয় বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, যার মাধ্যমে স্থানীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কী পরিমাণ অর্থসম্পদ, মানবসম্পদ, অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন হবে সেই চাহিদার নিরূপণ করা যায়। এজন্য প্রথমে স্থানীয় প্রাধিকার লক্ষ্যমাত্রা ও সূচকের লক্ষ্য পূরণে এসডিজি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা প্রয়োজন। এসডিজি স্থানীয়করণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের নিবিড় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এজন্য উপজেলা হতে প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয়করণে উদ্যোগ গ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা আবশ্যক। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নভিত্তিক এ কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারের বিদ্যমান প্রশাসনিক কাঠামোকে ব্যবহার করে স্থানীয়করণের কাজ শুরু করা প্রয়োজন। তাই উপজেলা ও সমন্বিতভাবে জেলা পর্যায়ে এসডিজি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য একটি ম্যানুয়েল বা গাইডলাইন থাকা প্রয়োজন। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়ন ও সমন্বয় সম্পর্কিত কমিটি গঠন করেছে। যার মূল দায়িত্ব বাংলাদেশের এসডিজি অগ্রাধিকার তালিকাকে প্রাধান্য দিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন, সমন্বয়, ও পরিবীক্ষণ। এসডিজি স্থানীয়করণে উক্ত বিদ্যমান কমিটির সহায়তায় ইতিমধ্যে জেলা পর্যায়ে নাটোরে এসডিজি স্থানীয়করণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, তবে উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়করণ-সংক্রান্ত কোনো ধরনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম এখনো সর্বত্র আরম্ভ হয়নি। তবে কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থা এসডিজি স্থানীয়করণে ইউনিয়ন পর্যায়ে এসডিজি স্থানীয়করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ কর্তৃক মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার অন্তর্গত সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদে এসডিজি অর্জন ও স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এসডিজি বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ : মেহেরপুরের এনজিও অভিজ্ঞতা এবং জিইডি কর্তৃক প্রণীত এসডিজি স্থানীয়করণ কাঠামো পর্যালোচনা করলে যে বিষয়টি প্রথমেই উঠে আসে তা হলো এসডিজি বাস্তবায়ন পদ্ধতির ভিন্নতা। এসডিজি স্থানীয়করণ কাঠামোটি মূলত উপজেলা কেন্দ্রিক; কিন্তু ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ কর্তৃক মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নের এসডিজি বাস্তবায়ন কার্যক্রমটি ইউনিয়নকেন্দ্রিক। সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে উপমুখী সংযোগ সম্পূর্ণরূপে স্থাপিত হয়নি। তবে, ইউনিয়ন পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ গাংনী উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নকে একটি মডেল ‘এসডিজি ইউনিয়ন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে ২০১৬ সালে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। কমিউনিটি চালিত উন্নয়ন প্রচেষ্টা হচ্ছে ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ কর্তৃক এসডিজি স্থানীয়করণের বাস্তবায়ন কৌশল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘উজ্জীবক’ সৃষ্টি করে এসডিজি বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ সৃষ্ট একদল প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে রয়েছে :(১) উজ্জীবক, (২) নারীনেত্রী, (৩) ইউথ লিডার, (৪) কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর, (৫) জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম সদস্য, (৬) গণগবেষণা সহায়ক, (৭) প্রশিক্ষিত নারী পুষ্টি সহায়ক, (৮) ভলান্টিয়ার সিভিল সোসাইটি লিডার এবং (৯) বিশিষ্ট নাগরিক কমিটি। উক্ত স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় সাহারবাটী ইউনিয়নের ৯টি গ্রামে উন্নয়ন দল গঠনসহ বেসলাইন সমীক্ষার মাধ্যমে সমাজের সবাইকে নিয়ে—গ্রামের সামাজিক মানচিত্রায়ণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, অগ্রাধিকার নিরূপণ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদে এসডিজি স্থানীয়করণের ক্ষেত্রে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের কর্মসূচি বাস্তবায়ন পদ্ধতির তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে। এগুলো হলো :(ক) পরিকল্পনা প্রণয়ন, (খ) উন্নয়ন অগ্রাধিকার চূড়ান্তকরণ এবং (গ) কার্যক্রম বাস্তবায়ন। পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ পাঁচটি ধাপে পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। এগুলো হলো—গ্রামভিত্তিক চাহিদা নিরূপণ, অগ্রাধিকার নির্ণয় ও পরিকল্পনা প্রণয়ন; ওয়ার্ড সভা আয়োজন এবং স্থায়ী কমিটির সভা থেকে তথ্য সংগ্রহ ও অগ্রাধিকার নির্ণয়; ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকার ও পরিকল্পনাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ; সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে এসডিজি স্থানীয়করণে অগ্রাধিকার নির্ণয় এবং ইউনিয়ন পরিকল্পনা কমিটি কর্তৃক পর্যালোচনা ও ওয়ার্ড সভায় পুনরায় যাচাইয়ের মাধ্যমে ইউনিয়নভিত্তিক অগ্রাধিকার চূড়ান্তকরণ এবং সেই আলোকে বার্ষিক এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে সমাজের সব স্তরের জনগনের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে ইউনিয়নের জন্য উন্নয়ন ভিশন নির্ধারণ ও অগ্রাধিকার চূড়ান্তকরণ। এসডিজি স্থানীয়করণের ক্ষেত্রে সাহারবাটী ইউনিয়নের ভিশন হচ্ছে ‘আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব উত্পাদন, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ইউনিয়ন গড়ে তোলা, যেখানে নারী, পুরুষ ও শিশু প্রত্যেকে তার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারবে।’ এক্ষেত্রে সাহারবাটী ইউনিয়নের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রসমূহ হলো : শিক্ষা উন্নয়ন; কৃষি, প্রাণী ও মত্স্যসম্পদের উন্নয়ন; জীবন-জীবিকার উন্নয়ন; পরিবেশ উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ; পারিবারিক বিরোধ নিরসন ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ; যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা; নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন; ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সুশাসন এবং মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপসংস্কৃতির আগ্রাসন মোকাবিলা ও সামাজিক সম্প্রীতির বিকাশ। উল্লেখ্য, সাহারবাটী ইউনিয়নের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রসমূহের সঙ্গে জিইডি কর্তৃক প্রস্তাবিত কাঠামোর আওতায় চিহ্নিত সম্ভাব্য কর্মক্ষেত্রের সাদৃশ্য রয়েছে।
এসডিজি স্থানীয়করণে ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ মূলত ইউনিয়ন পরিষদের জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও সুসংগঠিত করার কাজটি করে থাকে। ২০১৬ সাল থেকে অদ্যাবধি সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদের জনগণের সঙ্গে ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ ৯১টি ‘প্রত্যাশা প্রতিশ্রুতি কার্যক্রম’ সম্পন্ন করেছে যেখানে প্রায় ১ হাজার ১০১ জন নারী এবং ৮৩৭ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া তরুণ-তরুণী এবং কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে সাতটি কর্মশালা, গণগবেষণাসংক্রান্ত চারটি কর্মশালা, তথ্য অধিকার আইনবিষয়ক ১২টি কর্মশালা, নাগরিকত্ব-বিষয়ক ১২০টি কর্মশালা আয়োজন করেছে যেখানে ১ হাজার ৫৩০ জন নারী এবং ৯৪৮ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া, সামাজিক সম্প্রীতিবিষয়ক ৩৬টি কর্মশালা এবং ১৫টি বিষয়ে ৪০ হাজার ৩৭৩ জন অংশগ্রহণকারীর সমন্বয়ে ১ হাজার ৫২০টি ইস্যুভিত্তিক প্রচারাভিজান ও উঠান বৈঠক সম্পন্ন করা হয়েছে। এসডিজি স্থানীয়করণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদে এসডিজি স্থানীয়করণের লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থায়নের যেসব সম্ভাব্য উত্স চিহ্নিত করা হয়েছে তন্মধ্যে জেলা, উপজেলা প্রকল্প এবং এলজিএসপি; বেসরকারি সংস্থা/দাতা সংস্থা; কাবিখা, কাবিটা, কর্মসৃজন কর্মসূচি; স্থানীয় বিত্তশালীদের অনুদান; স্বেচ্ছাব্রতী নির্ভর সামাজিক পুঁজি; ইউনিয়নের রাজস্ব উদ্বৃত্ত, ভূমি হস্তান্তর কর (১%) এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিকট স্থানান্তরিত বিভিন্ন বিভাগের কর্মসূচি/বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ অন্যতম। অর্থায়নের সম্ভাব্য উত্সসমূহ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এর সঙ্গে জিইডি কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘এসডিজি বাস্তবায়নে চাহিদা নিরূপণ ও অর্থায়ন কৌশল’-এ উল্লিখিত অর্থায়নের পাঁচটি উেসর সঙ্গে ব্যাপক সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
স্থানীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়ন জোরদার করা জন্য ভবিষ্যত্ কর্মপন্থা বা সুপারিশ :
এসডিজি স্থানীয়করণের মাঠ পরিদর্শন থেকে একটি বিষয় সহজেই অনুমেয় যে উপজেলা পরিষদই হলো এসডিজি স্থানীয়করণের জন্য প্রথম ধাপ। তবে উপজেলা পরিষদ যেহেতু কয়েকটি ইউনিয়ন সমন্বয়ে গঠিত হয়, তাই যে কোনো ধরনের সংযোগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রবিন্দু হলো ইউনিয়ন। এক্ষেত্রে সরকার ‘এসডিজি মডেল ইউনিয়ন’ তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করলে তা পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ এবং তদূর্ধ্ব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসডিজি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে এসডিজিসংক্রান্ত কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের আওতায় সকল সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন এবং কার্য সম্পাদনে জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন। সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজিলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।