দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যে এবার ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেছে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। ব্যাংকিং খাতকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে এই চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে মোকাবিলার তাগিদ দিয়েছে। সার্বিকভাবে অর্থনীতির কিছু সূচক ইতিবাচক হলেও অন্তত আটটি চ্যালেঞ্জ দেখছে এমসিসিসিআই। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথমার্ধের অর্থনৈতিক পর্যালোচনা তুলে ধরতে গিয়ে এমসিসিআই এসব কথা বলেছে।
বিশ্লেষনে বলা হয়, অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকই ‘অস্বস্তিকর’ অবস্থায় রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও কালো মেঘের ঘনঘটা। ব্যাংকিং খাত ছাড়াও মূল্যস্ফীতির চাপ, আমদানি-রপ্তানির গতি মন্থরতা, রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে ধীরগতি, শেয়ারবাজারের সূচকের পতন, বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি এবং বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ধীর গতিকে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবকাঠামোর দুর্বলতা, গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যার পাশাপাশি ত্রুটিপূর্ণ সঞ্চালন লাইনের সমস্যা মোকাবিলা করছে উদ্যোক্তারা। এটি উত্পাদন খাতের ওপর প্রভাব ফেলছে। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। অবশ্য একই সময়ে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকাকে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
অর্থবছরের প্রতি প্রান্তিকে (তিন মাস) সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকের (জুলাই-ডিসেম্বর) এ পর্যালোচনা প্রতিবেদন গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
পর্যালোচনা প্রতিবেদেনে বলা হয়, অর্থবছরের প্রথমার্ধে কৃষি, উত্পাদন ও সেবা খাত ভালো করেছে। তবে এসব খাতের স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে অর্থনীতির উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্বার্থে বিদ্যমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখার প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছে এমসিসিআই। এমসিসিআই মনে করছে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।