NewIncredible offer for our exclusive subscribers!Read More
Bangladesh Banking & finance Business Economy Stock বাংলা

পুঁজিবাজারে দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি

  • February 16, 2020
  • 1 min read
পুঁজিবাজারে দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি

বাংলাদেশে তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির (সিএমডিপি) জন্য দ্বিতীয় কিস্তিতে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।  প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।

শনিবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি ঋণ প্রদানের পাশাপাশি তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির কারিগরি সহায়তা হিসেবে চার লাখ ডলারের মঞ্জুরি সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়া এই কর্মসূচিতে তিন লাখ ডলারের কারিগরি মঞ্জুরি সহায়তা প্রদান করেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। এর আগে এডিবি প্রথম কিস্তিতে ৮০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দিয়েছে। আর ২০১৫ সালের নভেম্বরে এই কর্মসূচির জন্য প্রথম কিস্তির মোট ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।

এডিবির ফাইনান্সিয়াল সেক্টর অ্যানালিস্ট তকুয়া হোসিনো বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকল্পে সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোসহ অন্যান্য উৎপাদনশীলখাতে বিনিয়োগের অর্থ সরবরাহের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে সংস্কারের মাধ্যমে আইনি, রেগুলেটরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাজার কাঠামো উপযুক্ত পর্যায়ে রুপান্তর করতে পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচিতে এডিবি দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা প্রদান করছে।’

২০১২ সালে পুঁজিবাজার দ্বিতীয় উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদের পর থেকে এডিবি সরকারের পুঁজিবাজার উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় সহায়তা দিয়ে আসছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো-পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো ও পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন করা।

এছাড়া তৃতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো-ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারের মাধ্যমে টেকসই পুঁজিবাজার বিকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাসমূহ দূর করা।

এডিবি ২০১২ সালে সিএমডিপি-২ প্রকল্প অনুমোদনের সময় থেকেই পুঁজিবাজারের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমকে সহায়তা করে আসছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের বাজার ধসের পর বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের পথে পুঁজিবাজারকে ফিরিয়ে আনাই ছিল এ প্রকল্পের লক্ষ্য। প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদি জাতীয় পুঁজিবাজার উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডি-মিউচুয়ালাইজেশন, উন্নত করপোরেট সুশাসন, আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষাকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য করা এবং বিমা খাতের উন্নয়নে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

About Author

Business Bangladesh

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.