চলমান চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী করে নিজেদের প্রস্তুত করে নিয়েছে প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা দেশগুলো। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে নিজেদের তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে এ ইস্যুর সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থাও তৈরি করতে হবে। সম্প্রতি ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত এক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক ঐ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে এতে পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের পরিচালক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদসহ অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। ড. রুবানা হক বলেন, চীন, ব্রাজিল, রাশিয়াসহ নতুন বাজারের বেশ কিছু দেশে রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অর্থনৈতিক কূটনীতি দরকার; কিন্তু সেটি যথাযথভাবে হচ্ছে না। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও উদ্যোক্তাদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজানো প্রয়োজন। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগ এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, দেশের শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে নীতিমালা করতে হবে। এছাড়া বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে অর্থনৈতিক কূটনীতি সফল করতে হলে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
Source – Ittefaq.