রফতানি বহুমুখীকরণে ৮৫ কোটি টাকার ইআরএফ তহবিল

0
260

চার খাতের রফতানি বাড়াতে চালু হলো রফতানি প্রস্তুতি তহবিল বা এক্সপোর্ট রেডিনেস তহবিল (ইআরএফ)। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তহবিলের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

তহবিল উদ্বোধন উপলক্ষে সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুল আজম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তহবিল থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, হালকা প্রকৌশল ও প্লাস্টিক খাতের উদ্যোক্তারা অনুদান গ্রহণের সুযোগ পাবেন, যা আর ফেরত দিতে হবে না। এজন্য উদ্যোক্তাদের নতুন কোনো উদ্যোগ এবং তার সঙ্গে অনুদান প্রদানের ধরনের সঙ্গে মিল থাকতে হবে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ তহবিলের আকার ১ কোটি ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৮৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ সাড়ে তিন বছর।

ইআরএফ থেকে তিন ধরনের অনুদান পাওয়া যাবে। এর মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কমপ্লায়েন্সের অবস্থা নিরূপণের জন্য ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত অনুদান দেয়া হবে। নিরূপণের জন্য উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে আরো ১০ শতাংশ অর্থ জোগান দিতে হবে। ব্যবসা ও কারিগরি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ৪০ হাজার ডলার পর্যন্ত অনুদান দেয়া হবে। এতে উদ্যোক্তাকে আরো ৪০ শতাংশ অর্থ জোগান দিতে হবে। আর সেবা ও স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগের জন্য ২ লাখ ডলার পর্যন্ত অনুদান দেয়া হবে। যেখানে উদ্যোক্তাকে আরো ৫০ শতাংশ অর্থ জোগান দিতে হবে।

বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বলেন, আশা করছি তহবিলটি চার খাতের পণ্যে বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগী সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রফতানি আয় বাড়বে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুল আজম বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো চার খাতের রফতানি বাজারে প্রবেশের বাধা দূর করা। উন্নত কর্মসংস্থান এবং টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে রফতানিতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, চার খাতের রফতানি বাড়াতে ইআরএফ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। সামগ্রিক ব্যবসার পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যবসা ও বিনিয়োগসংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেয়া উচিত। চলতি বছরের শুরু থেকে কনটেইনার হ্যান্ডলিং মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এমন বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে মাশুল বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। রফতানি কনটেইনারে তালার দাম ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। এসব উদ্যোগ দুধের মধ্যে লেবু দেয়ার মতো। বাংলাদেশের উন্নতি করতে সব ধরনের বাধা দূর করতে হবে।

Source – Bonik Barta

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here