২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার কিছু সময় পর জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।তবে অর্থমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটি প্রথম বাজেট। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালেরও এটি প্রথম বাজেট। আগের বাজেটের ধারাবাহিকতায় এই বাজেটেও মোবাইল ফোন ব্যবহারে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এবার স্মার্টফোন সেটের সম্পূরক শুল্ক বিদ্যামান ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে অন্যান্য (ফিচার) ফোন সেটের সম্পূরক শুল্ক একই অর্থাৎ ১০ শতাংশ রয়েছে। এদিকে মোবাইল ফোনের সিম/রিম কার্ডের সম্পূরক শুল্ক বিদ্যামান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোনের ট্রানজিস্টরের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, ক্রিস্টাল ডায়োডস ৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, চার্জার কানেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ, সিম স্লট ইজেক্টর পিন ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ছাড়া বাকি সব সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ছাড়াও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং আরও ১ শতাংশ সারচার্জ রয়েছে। এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সরাসরি কর রয়েছে ২২ শতাংশ। তবে নতুন বাজেট প্রস্তাবে ৫ শতাংশ কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ বাজেট পাস হলে গ্রাহক পর্যায়ে কথা বলার ক্ষেত্রে সরাসরি কর দিতে হবে ২৭ শতাংশ। এর ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস (ক্ষুদে বার্তা) আদান-প্রদান ও এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী গরিব মানুষেরও ব্যয় বেড়ে যাবে। দেশে এখন মোবাইল ফোনের সচল সিম রয়েছে প্রায় ১৬ কোটি। অর্থাৎ ১৬ কোটি মোবাইলের সিম ব্যবহারকারীর এ ব্যয় বাড়বে। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ৯ কোটি সিমে।
Source – Jugantor