তিন শ্রেণির কাঁচা পাট আবার রপ্তানি করা যাবে। আন–কাট, বিটিআর ও বিডব্লিউআর নামের কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে গত ২৯ মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়।
পাট আইন ১৩ ধারা অনুযায়ী, গত বছরের ১৮ জানুয়ারি এই তিন ক্যাটাগরির কাঁচা
পাট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। নিষেধাজ্ঞার কারণে কাঁচা পাট
রপ্তানি ব্যাপক হারে কমে যায়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)
তথ্যানুযায়ী, ২০১৭–১৮ অর্থবছর ১৫ কোটি ডলারের কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছিল, যা
তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ কম। এ দিকে চলতি অর্থবছরের
প্রথম ১১ মাসে (জুলাই–মে) ১০ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে।
এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের
প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ১৪ কোটি ডলারের কাঁচা পাট।
বাংলাদেশ
জুট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসাইন বুধবার
প্রথম আলোকে বলেন, আন–কাট, বিটিআর ও বিডব্লিউআর ক্যাটাগরির কাঁচা পাট মূলত
নিম্নমানের ও দামে কম। এই তিন ক্যাটাগরির কাঁচা পাট চীন, পাকিস্তান,
ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। তবে গত বছর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায়
রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় আবারও কাঁচা পাটের
রপ্তানি বাড়বে বলে জানান তিনি।
দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ধানের মতো পাটের বাম্পার ফলন হবে আগামী মৌসুমে। বিষয়টি আগেই বুঝতে পেরে সরকার আন–কাট, বিটিআর ও বিডব্লিউআর ক্যাটাগরির কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এটি দেশের জন্য ভালো। না হলে ধানচাষিদের মতো পাটচাষিদেরও ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হতো।
Source – Prothom Alo.